আলেমা
পিতার নামঃ মুহাম্মাদ মঞ্জুরুল আলম
SID: DWFB202324001
মাতার নামঃ ফেরদৌসী আলম
বয়সঃ ৩৭ বছর
ঠিকানাঃ বনশ্রী, ঢাকা, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৪
পেশাঃ শিক্ষিকা
অনুভূতিঃ আজ থেকে ১৪ বছর আগের কথা, পবিত্র কুরআন এর বাংলা অর্থ পড়ছিলাম সেই প্রথম। কিছু কিছু ঘটনা বুঝলাম কিন্তু অনেক কিছু অস্পষ্ট। ভাই বলল 'দুনিয়ার শুরু থেকে শেষ, সব বিষয়ে কুরআন এ বলা আছে। তার জন্য পবিত্র কুরআন এর ব্যাখ্যা বুঝতে হবে । কিন্তু ব্যাখা নিজে পড়ে বুঝা যায় না। একজন বিজ্ঞ উস্তাদের মাধ্যমে বুঝতে হবে। নিজে পড়ে বুঝার চেষ্টা করলে, অর্থ বিকৃত হয়'। তখনই মনে হল, 'ইশ আমি যদি মাদরাসায় পড়তাম!' দুনিয়াবি কত বিষয় পড়েছি অথচ মহান আল্লহ আমাদের জন্য কি বার্তা পাঠিয়েছেন, তার সব জানিনা। কত মূর্খ! সেই থেকে শুরু দুয়া, আল্লহ যদি মাদরাসায় পড়তে পারতাম! ''আমাকে মাদরাসায় ভর্তি করে দেও', বাসায় এ কথা বলার সাহস পেতাম না। কারণ জেনারেলে পড়ে অনেক খরচ হয়েছে। আবার এই সময়ে নতুন করে বাইরে গিয়ে পড়া শুরু করা সহজ ছিল না। কলেজে পড়ানো শুরু করলাম, তখন এত বুঝ ছিল না। জানতাম পর্দা করেও মেয়েরা জব করতে পারবে। কিন্তু ডিটেলস জানতাম না। এভাবেই অনেক সময় পার হল। আল্লহ আবার সুজোগ দিলেন। জব ছেড়ে দিলাম। আবার সেই মাদরাসায় পড়ার চিন্তা জাগ্রত হল। খুব দুয়া করতাম, অনেক অনেক। কান্না করে দুয়া করতাম। আমার আম্মু বলত, 'আল্লহ ঘরে বসেই তোমাকে মাদরাসায় পড়াবে। আল্লহর কাছে দুয়া কর'। এই কথাটা খুব অবাক লাগত। ঘরে বসে কিভাবে মাদরাসায় পড়ব। তখন অনলাইনে বাংলাদেশে কোন কওমি মাদরাসা ছিল না, আমার জানামতে কোন আলেমা শর্ট কোর্সও ছিল না। তাই এই বিষয়ে ধারনাই ছিল না যে ঘরে বসে আলেমা পড়া যায় অনলাইনে। ২০১৮ সালের রমজান এর সময়, ফেসবুক স্ক্রল করতে গিয়ে একটি গ্রুপ চোখে পড়ল ' ইন্টারনেট মাদরাসা ' ঘরে বসে অনলাইনে সম্পূর্ণ কওমি সিলেবাসে আলেম/আলেমা হওয়ার সুজোগ। কেমন যেন গুরুত্ব দিলাম না। এটা এমনি এমনি ভাবতাম। তার কিছুদিন পর ফ্রেন্ড লিস্টে তৃষা নামে এক আপুর স্টোরিতে মাদরাসার ছবি দেখলাম। এরপর আপুর সাথে কথা বলে জয়েন হলাম। বাট তখন ফরজে আইন কোর্সে জয়েন হয়েছিলাম, তখনও আলেমা কোর্স শুরু হয় নাই । ১০/১২ দিন ক্লাস করার পর, আমাদের উস্তাদ হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ ক্লাসে কথা বললেন, আমরা চাইলে এ বছরই আলেমা কোর্স শুরু করবেন। আমার সাথে আরও ১৩/১৪ জন, মানে আমরা ১৪/১৫ জন মিলে খুব অনুরোধ করলাম এবারই যেন আলেমা কোর্স শুরু হয়। উস্তাদ ক্লাস শুরু করলেন.. সেই থেকে শুরু। মহান আল্লহ তায়ালা উস্তাদকে দু'জাহানে কামিয়াব করুন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবার। আজ ৬ বছর চোখের পলকে চলে গেল! আমার এসো আরবি শিখি খাতা , মিযান খাতা আলাদা ছিল। আমি রেগুলার হোম ওয়ার্ক করতাম। সারাদিন পড়তাম। মিযান খাতা অনেক সুন্দর করে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম আরবীতে লিখে এরপর হোম ওয়ার্ক শুরু করতাম। প্রথম দিকে আরবি দেখে লিখতাম। পরে না দেখেই লেখা শিখলাম। টানা দুই সেমিস্টার একদিনও ক্লাস মিস দেই নাই। খাটে কিতাব -খাতা নিয়ে ঘুমাতাম, ঘুম থেকে উঠে আবার পড়তাম। রাতে ঘুমের মধ্যে পড়তাম। পড়তে কম পারব দেখে, খেতে যেতাম না অন্য রুমে। আম্মু এসে খাইয়ে দিত। আমাকে বলত 'ভালো করে পড়, আলেমা পড়া ছাড়বা না। তুমি ভালো করবা'। খুব দুয়া করত আমার জন্য। প্রতি নামাযে দুয়া করত। আম্মু হঠাৎ ইন্তেকাল করলেন। আল্লহ আমার মাকে জান্নাতবাসী করুন। পড়ার অবস্থা নড়বড়ে হতে থাকল। ক্লাসে উস্তাদ নসীহা করতেন অনেক। এত লং টাইম, এই বয়সে সবর করে এক জায়গায় আটকে থাকা কঠিন। পড়া বুঝতাম না। উস্তাদ বলতেন, ’ বুঝলে ভালো, না বুঝলে আরও ভালো। লেগে থাকেন। নিয়মিত ক্লাস করেন, মুতায়ালা করেন, মুজাকারা করেন। এই পড়া সামনে আরও পাবেন। একই বিষয় অনেক আসবে সামনে। লেগে থাকেন, দেখেন কি হয়’। মাদরাসায় খেদমতের সুজোগ হল আল্লহর অসীম দয়ায় এবং উস্তাদের উসিলায়। আলহামদুলিল্লাহ মাদরাসায় খেদমত, ক্লাসের পড়া এরই মাঝে বিয়ে, সংসার, বেবি। অনেক কিছু গ্যাপ হলেও সহপাঠীদের সহযোগিতা ভুলে যাওয়ার নয়। মাকসুদা আপু, আমার অনুপ্রেরণা। চার বাচ্চা নিয়ে ক্লাস করেন, ক্লাস করান, সংসার করেন। আপুকে দেখলে, খুব সাহস পেতাম। যখনই সরে যেতে চাইতাম শয়তানের প্ররোচনায়, আপু বলতেন ’ আপনার আম্মুর স্বপ্ন ছিল আপনি যেন আলেমা হতে পারেন। আপা পড়া ছেড়ে দিয়েন না। লেগে থাকেন’ একই বিষয় কতদিন আপু বলতেন! কতদিন পড়তে কল দিত। যখন বলতাম, তখনই ফ্রি হয়ে যেত আপু। আমি বলতাম আপু রান্না কখন করেন? আপু বলত ’ আপা সব সময় কিতাব সাথে থাকে। রান্না ঘরে প্লেট হাড়ি ধুই, ভর্তা করি আর পড়া দেখি’। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবার আমাদের অনলাইন মাদরাসায় আমাদের আরবি গ্রামার যেভাবে শেখানো হয়েছে , অফলাইন মাদরাসায় এভাবে পড়ানো হয় না। অফলাইন মাদরাসায় পড়ে এসে, আমার গ্রামার পড়ানো দেখে আমার ননাশের মেয়ে বলছে, ’মামি আমাদের কিছুই বলে দেয় নাই, শুধু পড়তে বলছে। পড়াও নেয় নাই’। আমার হাসব্যান্ড একবার আমার পড়ানো দেখে বলেছিলেন, ’মাদ্রাসা থেকে ফারেগ অনেকেই এমন গ্রামার বুঝে না’। এটা আমার অহংকার না, আমার মাদরাসার গর্ব, আমরা এভাবেই বেসিক শিখতে পেরেছি,আমাদের উস্তাদের মাধ্যমে, যা আমাদেরদাওরাহ জামাত পর্যন্ত কাজে লাগছে আলহামদুলিল্লাহ। আমরা মেশকাত জামাত, দাওরাহ জামাতে এমন উস্তাদদের থেকে দারস নিতে পেরেছি, যা অফলাইন মাদরাসায়ও অনেকে এই সুজোগ পায় না। আমাদের উস্তাদগন হযরত মাওলানা লিয়াকত আলী হাফিজাহুল্লাহ উস্তাদ হযরত মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেমী হাফিজাহুল্লাহ হুজুর হযরত মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম মিশরী হাফিজাহুল্লাহ হুজুরের নসিহত প্রতি দারসে অতুলনীয়। হযরত মাওলানা আসাদুজ্জামান হাফিজাহুল্লাহ হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ সন্দীপ উস্তাদ হযরত মাওলানা শুয়াইব নাদভী হাফিজাহুল্লাহ, সবাই যার যার দারসে অতুলনীয় ছিলেন। - আমার হাসব্যান্ড মাঝে মাঝে যখন ওনাদের পড়ানো শুনতেন, আমাকে বলতেন ক্লাস করতে। উস্তাদগনের হক আদায় করতে পারিনি ঠিকঠাক কিন্তু ওনারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন আমাদের জন্য। আমাদের মাদরাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ হুজুরের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের জন্য অনলাইনে এমন সুজোগ করে দেয়ার জন্য। আল্লহর কাছে আমাদের সকল উস্তাদগনের দীর্ঘায়ু কামনা করি। আল্লহ আপনাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যান দান করুন। আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা যেন জীবনে কাজে লাগাতে পারি দুয়া করবেন আমাদের জন্য। আমাদের মাদ্রাসার মুহতামিম উস্তাদের নিকট আবেদন, হুজুর এই মাদরাসা থেকে বিদায় হতে চাইনা। জামাতের শেষ বর্ষ হলেও, আবার মাদরাসায় উস্তাদের দারস শুনতে চাই, আবার পড়তে চাই ইন শা আল্লহ। মৃত্যু পর্যন্ত মাদরাসার সাথে লেগে থাকতে চাই। যারা এই লেখা পড়বেন, আমার মায়ের জন্য দুয়া করবেন প্লিজ। যাদের মা আছে, মায়ের থেকে দুয়া নিবেন। আল্লহর শুকরিয়া আদায় করি, আমাকে এই লেখার তৌফিক দানের জন্য।
আলেমা
পিতার নামঃ নাজমুল হক
SID: 0000000000
মাতার নামঃ হালিমা খাতুন
বয়সঃ ৩০ বছর
ঠিকানাঃ সূত্রাপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৪
পেশাঃ শিক্ষিকা
অনুভূতিঃ এই ইন্টারনেট মাদ্রাসা নিয়ে লিখলে শেষ হবেনা💔 অফলাইন মাদ্রাসাতে মেশকাত জামাত যখন কন্টিনিউ করা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়লো,তখন আমি নানা ভাবে খোঁজ করতে শুরু করলাম অনলাইন ভালো ইনস্টিটিউট আছে কিনা যেখানে কিনা কওমি সিলেবাসে পড়ানো হবে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা কিভাবে এই মাদ্রাসার খোঁজ পাইয়ে দিলেন আলহামদুলিল্লাহ যেদিন আমি এখানে রেজিষ্ট্রেশন করি তখন আমার বাচ্চার জ্বর ছিলো ১০৫ ডিগ্রি হাসপাতালে বসে ছেলেকে কোলে নিয়ে বড়ো হুজুরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম যেনো আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করার সুযোগ টুকু দেন আলহামদুলিল্লাহ সেদিন ই রেজিষ্ট্রেশনে সাকসেস হতে পারি, শুরু হলো এই ইন্টারনেট মাদ্রাসা তে আমার পথ চলা, সকল উস্তাদগন ই এতো যত্ন সহকারে আমাদের জন্য খেদমত দিয়ে গেছেন আলহামদুলিল্লাহ এতো সুন্দর করে আমাদের দরস গুলো নিয়েছেন, আরশের মালিকের কাছে মন থেকে দোয়া করছি আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা সকল উস্তাদগনদের উত্তম যাজাহ দান করুন আমিন, হাজারো পরিস্থিতিতে বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে একটু চেষ্টা করতাম লেগে থাকার, জানিনা কতোদুর পেরেছি, আরো শিখতে হবে আরো জানতে হবে, ইলম শিক্ষার জন্য আরো পরিশ্রম করতে চাই, ডায়রির নোট গুলো কে সাক্ষী রাখতে চাই, আমার জামাতের সহপাঠী বোন গুলো মাশাল্লাহ যথেষ্ট হেল্পফুল ছিলেন, আল্লাহ আপনাদের কেও উত্তম প্রতিদান দান করুন,, বিদায় সত্যি ই কষ্টের 😪 পরিশেষে এতোটুকু বিনয়ী অনুরোধ সকল উস্তাদগনের কাছে, আমাদের কে আপনাদের দোয়া তে রাখবেন ইনশাআল্লাহ এই মাদ্রাসা ভালোবাসা র একটা জায়গা ছিলো আমার জন্য আলহামদুলিল্লাহ লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি হলে আশা করছি সুন্দর ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ইনশাআল্লাহ সবার জন্য শুভকামনা রইলো🍁 জাযাকাল্লাহ খইর ❤
আলেমা
পিতার নামঃ এম. ডি. সামাদ মিয়া
SID: ???????????????
মাতার নামঃ ?????
বয়সঃ ৩৬ বছর
ঠিকানাঃ ১৬ বি.কে. দাস রোড,ফরাশগঞ্জ, সুত্রাপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৪
পেশাঃ শিক্ষিকা
অনুভূতিঃ অনুভূতি -লিখে শেষ করার মতো নয়। সে এক বিশাল ঘটনা। ইন্টারনেট মাদ্রাসাকে যে অনলাইনে পেলাম এটার পিছনে তো বিশাল এক ঘটনা যেটা বলতে গেলে অনেকটা সময় লেগে যাবে। কিন্তু আমি আবার কোন কিছুই ছোট করে বলতে পারি না। বিবিএ ফাইনাল দিয়ে এসে আমার মনে হল আমি মাদ্রাসাতে পড়বো তারপর থেকে অফলাইনে মাদ্রাসা করছিলাম বিবাহিতদের অফলাইন মাদ্রাসায় পড়ার একটা অসুবিধা আছে তাই এমন কোন মাদ্রাসায় এরকম আশেপাশে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। খোঁজারও প্রায় দুই বছর পরে আমার বাড়ির একদম কাছে একটা মাদ্রাসায় পেয়ে গেলাম খুবই সুন্দর মাদ্রাসা। সেখানে বড় খালাম্মার অনুপ্রেরণায় কয়েক বছর পড়লাম এবং খেদমত করলাম কিন্তু তারপরে আর পারিবারিক কারণে আমার পড়া হলো না এবং তখন থেকেই আমার ভীষন আফসোস ছিল যে আমি কিভাবে মাদ্রাসায় পড়া শেষ করব এবং কোথায় আমি এরকম একটা প্ল্যাটফর্ম পাব যেখানে আমি ঘরে বসেই পড়তে পারব কিন্তু আমি কখনো চিন্তা করতে পারিনি আমার জন্য সামনে এমন এক মাদ্রাসা আছে যেখান থেকে আমি মাদ্রাসার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার স্বপ্নের মঞ্জিল পর্যন্ত আমি যেতে পারব। অনলাইনেই কিছু আপুর মাধ্যমে জানতে পারলাম ইন্টারনেট মাদ্রাসার কথা এবং সেটা ছিল এই মাদ্রাসার দ্বিতীয় ব্যাচ। পরবর্তীতে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচকে একত্রিত করা হয়েছিল। এ কারণে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করতেছি যে আমরাই প্রথম ব্যাচ। পারিবারিক নানান জটিলতার কারণেই নানান ব্যস্ততার কারণে মাঝে মাঝে মন করতাম যে হয়তো আমাকে দিয়ে হবে না। এই রাস্তায় অনেকে ঝরে গেছে, অনেকে পরে গেছে অনেক ভালো ভালো মেধাবী স্টুডেন্ট ছিল কিন্তু তারা শেষ করতে পারেনি এটা তাদের হয়তো সারা জীবনের আফসোস থাকবে কিন্তু আমাদের এই আফসোসটা আর থাকবে না ,আমরা যেভাবেই হোক যেমন করি হোক আল্লাহ আমাদেরকে দিয়ে এই পড়ার সফর শেষ করেছে খুব সুন্দর করে আলহামদুলিল্লাহ। যারা পড়তে পারেনি অথচ একসাথে আমরা ছিলাম তাদের জন্য এখনো খুব কষ্ট লাগে। মাদ্রাসার হযরত হাসিবুর রহমান হুজুর আমাদের জন্য আর্শীবাদ। তার অনুপ্রেরণা য় আমরা এগিয়ে এসেছি। উস্তাদদের কথা ,আদেশ আমার কাছে। খুব ই সিরিয়াস ভাবে নেই প্রত্যেক উস্তাদের কথা। হয়তো ব্যস্ততার এই চড়াই উতরাই অবস্থায় কিছু ক্লাস মিস করেছি কিন্তু তারপরও রেকর্ড শুনেছি না শুনেছি এইভাবেই আধাঁআধি চেষ্টা য় এগিয়ে গিয়েছি। কি পড়ার জন্য কত রাত জাগা কত কান্না কত স্মৃতি আমাদের অন্তরে আজীবন থেকে যাবে। মাদ্রাসার অসাধারণ মনোমুগ্ধকর ক্লাস আমাদেরকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করে। আমাদের ওস্তাদেরাই সেরা এটা আমি জোর গলায় বলতে পারি, আমার কাছে । দাওরা র বছর আমরা ঘরে বসে শ্রেষ্ঠ উস্তাদের সোহবত পাইছি আলহামদুলিল্লাহ। প্রত্যেক উস্তাদ অতুলনীয়। হযরত মাওলানা লিয়াকত আলী হাফিজাহুল্লাহ উস্তাদ আমাদের গর্ব। হযরত মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেমী হাফিজাহুল্লাহ হুজুর প্রতি জামাতে অসাধারন ভাবে নিরলস ক্লাস নিয়েছেন অসাধারণ ভাবে। হযরত তৌহিদুল ইসলাম মিশরী হাফিজাহুল্লাহ হুজুরের নসিহত প্রতি দারসে অতুলনীয়। হযরত আসাদুজ্জামান হাফিজাহুল্লাহ উস্তাদ, হযরত আব্দুল্লাহ সন্দীপ উস্তাদ, হযরত মাওলানা শুয়াইব নাদভী হাফিজাহুল্লাহ সবাই যার যার দারসে অতুলনীয় ছিলেন। তবে কস্ট লাগছে যে কিভাবে বছর শেষ হয়ে গেল দারস শেষ হয়ে গেল। যদি বা পড়ালেখার কোন শেষ নাই আমার মতে এই তো মাত্র শুরু হল কিন্তু তারপরও তো যেকোনো কিছু শুরু থেকে শেষ আছে তাই সাময়িকভাবে হলেও আমাদের এই মাদ্রাসায় শেষ জামাত ও শেষ হয়ে গেল । অনেক অনেক দুআ আমাদের হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান উস্তাদের জন্য যার কঠিন চেষ্টা য় আমরা আজ শেষ সীমানায় পৌছাতে পেরেছি। উস্তাদদের কথা যে' লেগে থাকেন'এটাই মাথায় ছিল। তারমধ্যে বেফাক পরীক্ষা দেওয়া এভাবে পরে। অসাধারণ অনুভূতি। মজার বিষয় অনেকে ভাবে অনলাইন থেকে পড়ে অফলাইনের ছাত্রীদের সাথে কি পারা যাবে না। তাদের পড়া আর আমাদের পড়া কেমন তাতো রেজাল্ট ই বলে দিচ্ছে আর নতুন করে কি বলবো। তবে যেখান থেকে পরীক্ষা দেই তারাও সমাদর করে। প্রশংসা করে তাদের ছাত্রীদের আমার উদাহরণ দেয়।এটা ভালোই লাগে। মেয়েদের ভর্তি করাতে গেছি এক মাদ্রাসায়।আমি চিনি না বড় আপাকে অথচ সে আমাকে চিনে। চার বাচ্চা র মা হয়েও কি করে পড়াশোনা করছি এই মিছাল হয়ে গেছি আলহামদুলিল্লাহ এগুলো কার জন্য। উস্তাদের অনুপ্রেরণা যে আমাকে কি সম্মান এনে দিছে এটা তো লিখে প্রকাশ করা যাবে না। ছাত্রী ছিলাম, আছি থাকবো। আমার আচরণ এ কোন কাজে কস্ট পেয়ে থাকলে এই ছাত্রীকে মাফ করে দিবেন। পড়াশোনা থাকবে চালিয়ে যাবো সারাজীবন। এই মাদ্রাসায় জুড়ে থাকবো। আবার দাওরা ক্লাসে ফিরে আসবো বার বার। নাহু ছরফ এর ক্লাসে প্রত্যেক এমন ক্লাসে যেখানে যেখানে পারি।
আলেম
পিতার নামঃ মোঃ কামরুজ্জামান
SID: DWMA202324007
মাতার নামঃ ফেরদৌসী আক্তার
বয়সঃ ৩০ বছর
ঠিকানাঃ মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৪
পেশাঃ ছাত্র
হাফেজা
পিতার নামঃ মো: শাহজাহান
মাতার নামঃ মোসা: শাহীদা খাতুন
ঠিকানাঃ ১৫৭, পশ্চিম মনিপুর, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৩
পেশাঃ সরকারি চাকুরি
হিফজের সময়সীমাঃ ৪ বছর
অনুভূতিঃ এই পৃথিবীতে কুরআনের আয়াত পাতার পর পাতা না দেখে পড়তে পারার মত আনন্দ আর কিছুতেই নাই। মনে হয় অসীম সমুদ্রে মনের আনন্দে ইচ্ছেমত সাঁতার কাটার মত। এটা আল্লাহতায়ালার এত বড় নিয়ামত যে ঠিক মত উপলব্ধি করতে পারিনা। এত গুনাহ আর এত ভুল নিয়ে চলার পরও আল্লাহ তার কালাম উচ্চারণ করতে দেন হৃদয়ে নিতে দেন এটা নি:সন্দেহে আমার মত গুনহগারের জন্য অনেক অনেক বড় নিয়ামত আলহামদুলিল্লাহ।
হাফেজা
পিতার নামঃ আনওয়ার হোসাইন খান
মাতার নামঃ মাহবুবা জেসমিন
ঠিকানাঃ সিলেট,বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২০-২১
পেশাঃ ছাত্রী
হিফজের সময়সীমাঃ ১ বছর ১ মাস
অনুভূতিঃ ইন্টারনেট মাদরাসার সময়টা আমার জীবনে খুব স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভোলার মতো না, বুকের ভেতর আগলে রাখবো সব স্মৃতি। হিফজ শুরুর পেছনের গল্পটা আসলে বেশি কিছু না। সময়কে কাজে লাগানো হিসেবে শুরু। 'অযথা সময় না কাটিয়ে ভালো কিছু করি' এমনই। যখন ৬-৭ পারা হয়ে গেল তখন নিজের মধ্যে একটা আত্নবিশ্বাস আসে যে, আমি পারবো ইনশাআল্লাহ। সেই থেকে বারবার হোচট খেয়েও নতুন উদ্যমে চলতে থাকা। কয়েকজন বোনের হিফজের প্রতি মেহনতে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। তারপর আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ শেষ পর্যন্ত যাওয়ার তাওফীক দিলেন। এখনো অনেক মেহনত বাকি,লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে.. স্বপ্ন দেখেছিলাম আকাশছোঁয়া, কিছুটা কাছাকাছি হয়তো যেতে পেরেছি...
হাফেজা
পিতার নামঃ মো: কাওছার আহমদ
মাতার নামঃ খাদিজা আক্তার চৌধুরী
ঠিকানাঃ উত্তর বাগবাড়ি, সিলেট,বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৩
পেশাঃ ছাত্রী
হিফজের সময়সীমাঃ ১ বছর ১০ মাস
অনুভূতিঃ অনুভূতি যখন হাজার পাতার উহ্য থাকুক সবকিছু
হাফেজা
পিতার নামঃ মরহুম হাফেজ মাওলানা মুজীবুর রহমান
মাতার নামঃ শামসুন্নাহার
ঠিকানাঃ 40/12,পশ্চিম ভাষানটেক, দেওয়ানপারার মোড় (বাইতুল মাবুদ জামে মসজিদ এর সামনে),বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৩
পেশাঃ গৃহীনি
হিফজের সময়সীমাঃ ১ বছর ৩ মাস
অনুভূতিঃ কখন বলব ইনশাআল্লাহ আবার পুরোটা পড়তে পারব যেদিন
Anonymous
Anonymous
Anonymous
Anonymous
-192 days left
-192 days left