আলেমা
পিতার নামঃ মোঃ আলী আজম ভূইয়া
SID: DWMA202324012
মাতার নামঃ শামীমা আজম
বয়সঃ ২৮ বছর
ঠিকানাঃ মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৪
পেশাঃ গৃহিণী
আলেমা
পিতার নামঃ মুহাম্মাদ মঞ্জুরুল আলম
SID: DWFB202324001
মাতার নামঃ ফেরদৌসী আলম
বয়সঃ ৩৭ বছর
ঠিকানাঃ বনশ্রী, ঢাকা, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৪
পেশাঃ শিক্ষিকা
অনুভূতিঃ আজ থেকে ১৪ বছর আগের কথা, পবিত্র কুরআন এর বাংলা অর্থ পড়ছিলাম সেই প্রথম। কিছু কিছু ঘটনা বুঝলাম কিন্তু অনেক কিছু অস্পষ্ট। ভাই বলল 'দুনিয়ার শুরু থেকে শেষ, সব বিষয়ে কুরআন এ বলা আছে। তার জন্য পবিত্র কুরআন এর ব্যাখ্যা বুঝতে হবে । কিন্তু ব্যাখা নিজে পড়ে বুঝা যায় না। একজন বিজ্ঞ উস্তাদের মাধ্যমে বুঝতে হবে। নিজে পড়ে বুঝার চেষ্টা করলে, অর্থ বিকৃত হয়'। তখনই মনে হল, 'ইশ আমি যদি মাদরাসায় পড়তাম!' দুনিয়াবি কত বিষয় পড়েছি অথচ মহান আল্লহ আমাদের জন্য কি বার্তা পাঠিয়েছেন, তার সব জানিনা। কত মূর্খ! সেই থেকে শুরু দুয়া, আল্লহ যদি মাদরাসায় পড়তে পারতাম! ''আমাকে মাদরাসায় ভর্তি করে দেও', বাসায় এ কথা বলার সাহস পেতাম না। কারণ জেনারেলে পড়ে অনেক খরচ হয়েছে। আবার এই সময়ে নতুন করে বাইরে গিয়ে পড়া শুরু করা সহজ ছিল না। কলেজে পড়ানো শুরু করলাম, তখন এত বুঝ ছিল না। জানতাম পর্দা করেও মেয়েরা জব করতে পারবে। কিন্তু ডিটেলস জানতাম না। এভাবেই অনেক সময় পার হল। আল্লহ আবার সুজোগ দিলেন। জব ছেড়ে দিলাম। আবার সেই মাদরাসায় পড়ার চিন্তা জাগ্রত হল। খুব দুয়া করতাম, অনেক অনেক। কান্না করে দুয়া করতাম। আমার আম্মু বলত, 'আল্লহ ঘরে বসেই তোমাকে মাদরাসায় পড়াবে। আল্লহর কাছে দুয়া কর'। এই কথাটা খুব অবাক লাগত। ঘরে বসে কিভাবে মাদরাসায় পড়ব। তখন অনলাইনে বাংলাদেশে কোন কওমি মাদরাসা ছিল না, আমার জানামতে কোন আলেমা শর্ট কোর্সও ছিল না। তাই এই বিষয়ে ধারনাই ছিল না যে ঘরে বসে আলেমা পড়া যায় অনলাইনে। ২০১৮ সালের রমজান এর সময়, ফেসবুক স্ক্রল করতে গিয়ে একটি গ্রুপ চোখে পড়ল ' ইন্টারনেট মাদরাসা ' ঘরে বসে অনলাইনে সম্পূর্ণ কওমি সিলেবাসে আলেম/আলেমা হওয়ার সুজোগ। কেমন যেন গুরুত্ব দিলাম না। এটা এমনি এমনি ভাবতাম। তার কিছুদিন পর ফ্রেন্ড লিস্টে তৃষা নামে এক আপুর স্টোরিতে মাদরাসার ছবি দেখলাম। এরপর আপুর সাথে কথা বলে জয়েন হলাম। বাট তখন ফরজে আইন কোর্সে জয়েন হয়েছিলাম, তখনও আলেমা কোর্স শুরু হয় নাই । ১০/১২ দিন ক্লাস করার পর, আমাদের উস্তাদ হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ ক্লাসে কথা বললেন, আমরা চাইলে এ বছরই আলেমা কোর্স শুরু করবেন। আমার সাথে আরও ১৩/১৪ জন, মানে আমরা ১৪/১৫ জন মিলে খুব অনুরোধ করলাম এবারই যেন আলেমা কোর্স শুরু হয়। উস্তাদ ক্লাস শুরু করলেন.. সেই থেকে শুরু। মহান আল্লহ তায়ালা উস্তাদকে দু'জাহানে কামিয়াব করুন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবার। আজ ৬ বছর চোখের পলকে চলে গেল! আমার এসো আরবি শিখি খাতা , মিযান খাতা আলাদা ছিল। আমি রেগুলার হোম ওয়ার্ক করতাম। সারাদিন পড়তাম। মিযান খাতা অনেক সুন্দর করে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম আরবীতে লিখে এরপর হোম ওয়ার্ক শুরু করতাম। প্রথম দিকে আরবি দেখে লিখতাম। পরে না দেখেই লেখা শিখলাম। টানা দুই সেমিস্টার একদিনও ক্লাস মিস দেই নাই। খাটে কিতাব -খাতা নিয়ে ঘুমাতাম, ঘুম থেকে উঠে আবার পড়তাম। রাতে ঘুমের মধ্যে পড়তাম। পড়তে কম পারব দেখে, খেতে যেতাম না অন্য রুমে। আম্মু এসে খাইয়ে দিত। আমাকে বলত 'ভালো করে পড়, আলেমা পড়া ছাড়বা না। তুমি ভালো করবা'। খুব দুয়া করত আমার জন্য। প্রতি নামাযে দুয়া করত। আম্মু হঠাৎ ইন্তেকাল করলেন। আল্লহ আমার মাকে জান্নাতবাসী করুন। পড়ার অবস্থা নড়বড়ে হতে থাকল। ক্লাসে উস্তাদ নসীহা করতেন অনেক। এত লং টাইম, এই বয়সে সবর করে এক জায়গায় আটকে থাকা কঠিন। পড়া বুঝতাম না। উস্তাদ বলতেন, ’ বুঝলে ভালো, না বুঝলে আরও ভালো। লেগে থাকেন। নিয়মিত ক্লাস করেন, মুতায়ালা করেন, মুজাকারা করেন। এই পড়া সামনে আরও পাবেন। একই বিষয় অনেক আসবে সামনে। লেগে থাকেন, দেখেন কি হয়’। মাদরাসায় খেদমতের সুজোগ হল আল্লহর অসীম দয়ায় এবং উস্তাদের উসিলায়। আলহামদুলিল্লাহ মাদরাসায় খেদমত, ক্লাসের পড়া এরই মাঝে বিয়ে, সংসার, বেবি। অনেক কিছু গ্যাপ হলেও সহপাঠীদের সহযোগিতা ভুলে যাওয়ার নয়। মাকসুদা আপু, আমার অনুপ্রেরণা। চার বাচ্চা নিয়ে ক্লাস করেন, ক্লাস করান, সংসার করেন। আপুকে দেখলে, খুব সাহস পেতাম। যখনই সরে যেতে চাইতাম শয়তানের প্ররোচনায়, আপু বলতেন ’ আপনার আম্মুর স্বপ্ন ছিল আপনি যেন আলেমা হতে পারেন। আপা পড়া ছেড়ে দিয়েন না। লেগে থাকেন’ একই বিষয় কতদিন আপু বলতেন! কতদিন পড়তে কল দিত। যখন বলতাম, তখনই ফ্রি হয়ে যেত আপু। আমি বলতাম আপু রান্না কখন করেন? আপু বলত ’ আপা সব সময় কিতাব সাথে থাকে। রান্না ঘরে প্লেট হাড়ি ধুই, ভর্তা করি আর পড়া দেখি’। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবার আমাদের অনলাইন মাদরাসায় আমাদের আরবি গ্রামার যেভাবে শেখানো হয়েছে , অফলাইন মাদরাসায় এভাবে পড়ানো হয় না। অফলাইন মাদরাসায় পড়ে এসে, আমার গ্রামার পড়ানো দেখে আমার ননাশের মেয়ে বলছে, ’মামি আমাদের কিছুই বলে দেয় নাই, শুধু পড়তে বলছে। পড়াও নেয় নাই’। আমার হাসব্যান্ড একবার আমার পড়ানো দেখে বলেছিলেন, ’মাদ্রাসা থেকে ফারেগ অনেকেই এমন গ্রামার বুঝে না’। এটা আমার অহংকার না, আমার মাদরাসার গর্ব, আমরা এভাবেই বেসিক শিখতে পেরেছি,আমাদের উস্তাদের মাধ্যমে, যা আমাদেরদাওরাহ জামাত পর্যন্ত কাজে লাগছে আলহামদুলিল্লাহ। আমরা মেশকাত জামাত, দাওরাহ জামাতে এমন উস্তাদদের থেকে দারস নিতে পেরেছি, যা অফলাইন মাদরাসায়ও অনেকে এই সুজোগ পায় না। আমাদের উস্তাদগন হযরত মাওলানা লিয়াকত আলী হাফিজাহুল্লাহ উস্তাদ হযরত মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেমী হাফিজাহুল্লাহ হুজুর হযরত মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম মিশরী হাফিজাহুল্লাহ হুজুরের নসিহত প্রতি দারসে অতুলনীয়। হযরত মাওলানা আসাদুজ্জামান হাফিজাহুল্লাহ হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ সন্দীপ উস্তাদ হযরত মাওলানা শুয়াইব নাদভী হাফিজাহুল্লাহ, সবাই যার যার দারসে অতুলনীয় ছিলেন। - আমার হাসব্যান্ড মাঝে মাঝে যখন ওনাদের পড়ানো শুনতেন, আমাকে বলতেন ক্লাস করতে। উস্তাদগনের হক আদায় করতে পারিনি ঠিকঠাক কিন্তু ওনারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন আমাদের জন্য। আমাদের মাদরাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ হুজুরের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের জন্য অনলাইনে এমন সুজোগ করে দেয়ার জন্য। আল্লহর কাছে আমাদের সকল উস্তাদগনের দীর্ঘায়ু কামনা করি। আল্লহ আপনাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যান দান করুন। আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা যেন জীবনে কাজে লাগাতে পারি দুয়া করবেন আমাদের জন্য। আমাদের মাদ্রাসার মুহতামিম উস্তাদের নিকট আবেদন, হুজুর এই মাদরাসা থেকে বিদায় হতে চাইনা। জামাতের শেষ বর্ষ হলেও, আবার মাদরাসায় উস্তাদের দারস শুনতে চাই, আবার পড়তে চাই ইন শা আল্লহ। মৃত্যু পর্যন্ত মাদরাসার সাথে লেগে থাকতে চাই। যারা এই লেখা পড়বেন, আমার মায়ের জন্য দুয়া করবেন প্লিজ। যাদের মা আছে, মায়ের থেকে দুয়া নিবেন। আল্লহর শুকরিয়া আদায় করি, আমাকে এই লেখার তৌফিক দানের জন্য।
আলেমা
পিতার নামঃ নুরুল ইসলাম
SID: DWFA202324005
মাতার নামঃ মনোয়ার বেগম
বয়সঃ ২৪ বছর
ঠিকানাঃ গাজীপুর, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৪
পেশাঃ গৃহিণী
অনুভূতিঃ কিছু অনুভূতি যা প্রকাশ করার জন্য শব্দযুগল খুজে পাওয়া যায় না। ইন্টারনেট মাদ্রাসা নিয়ে আমার অনুভূতি ঠিক তেমন। আল্লাহ র দেয়া জীবনে বড় নিয়ামত গুলোর একটি এই মাদ্রাসা। অনলাইনে ও কওমী মাদ্রাসার নিসাব পড়া যায় এটা এই মাদ্রাসা ই দেখিয়েছে। যেখানে সবাই বলেছে অনলাইনে কওমী মাদ্রাসা সম্ভব না। সেখানে আমার প্রাণপ্রিয় উস্তায হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ আল্লাহ র উপর তাওয়াক্কুল রেখে চালিয়ে যাচ্ছেন। যা সবার নিকট অসম্ভব ছিল তিনি তা করে দেখিয়েছেন। মানুষ অন্তর থেকে চাইলে আল্লাহ ও যে তা সহজ করে দেন তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ আমার উস্তাজ। যেখানে সবাই বলেছে, অনলাইনে সর্বোচ্চ নাহবেমীর পর্যন্ত হতে পারে, সেখানে আমার উস্তাজ সবার ধারণা কে ভুল দেখিয়ে অনলাইনে দাওরা জামাত পর্যন্ত চালিয়েছেন। এতটুকুর পিছনে আমার উস্তাজের কত নির্ঘুম রজনী ছিল, কত রাতের দোয়া, কত কান্না ছিল,তার হিসেব আল্লাহ রেখেছেন। উস্তাজ এর দোয়া, কঠোর পরিশ্রম, সবর এর ফল আজ কের এই মাদ্রাসা। প্রথম ব্যাচ এর কমতি গুলো খুজে, আরও কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের পারদর্শী করা যায় তা নিয়ে কাজ করেছেন। কিতাব গুলো থেকে আরও কিভাবে ফায়দা হাসিল করা যায়, আরও কিভাবে সহজে উপস্থাপন করা যায় তা নিয়ে আমার উস্তাজ রাতের পর রাত গবেষণা করে গিয়েছেন।। আমাদের মাদ্রাসায় বর্তমান সিস্টেম টা এত টা ই সুন্দর যে কেও খুব সহজে ই দক্ষ হয়ে উঠবে। আমি বিশ্বাস করি, যারা নতুন সিলেবাসে পড়ছে তারা বেফাকে খুব ই ভাল রেজাল্ট করবে। মানুষ এর সবচেয়ে প্রিয় জিনিস যেমন মানুষ হারাতে চায় না, তেমনি আমি ও চাইনা আল্লাহ গুনাহ এর জন্য আমার জীবন থেকে মাদ্রাসা কে নিয়ে যাক। আল্লাহ এই মাদ্রাসা কে কিয়ামত পর্যন্ত কায়েম রাখেন। আমীন
আলেমা
পিতার নামঃ মোঃ আব্দুল আলীম
SID: DWFA202324011
মাতার নামঃ সাহিদা
বয়সঃ ২২ বছর
ঠিকানাঃ পূর্ব রামপুরা, ঢাকা, বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৪
পেশাঃ গৃহিণী
অনুভূতিঃ এএই মাদ্রাসার খোঁজ পাওয়া আমার জীবনে একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন । আসলে এই মাদ্রাসার সাথে আমার পরিচয় না হলে আমার ইলম অর্জন এর রাস্তা সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে যেত। আমি মনে করি আমার মত হাজারো বিবাহিত জ্ঞান পিপাসিত মেয়েদের স্বপ্নের মাদ্রাসা এটি। এই মাদ্রাসার সাথে যুক্ত না হলে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না যে এটা কত ভাল প্রতিষ্ঠান। এই মাদ্রাসার উস্তাযগন কতটা উদার মনে অক্লান্ত পরিশ্রমের সাথে খেদমত করেন। কত জ্ঞান পিপাসুদের পিপাসা নিবারনের স্থান এই প্রতিষ্ঠান তা কেবল যারা যুক্ত হোন তারাই বুজতে পারেন। এত ভালো ভালো উস্তাযদের ক্লাস করার সময় শুধু বার বার এই কথাই মনে হয় যে, আল্লাহ তা'য়ালা আমার ভাগ্য অনেক ভাল করেছেন বলেই বুজি আমাকে এমন প্রতিষ্ঠান এর সাথে যুক্ত করেছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ তা'য়ালা এই মাদ্রাসাকে অনেক বরকত দান করুন।এবং কবুল করুন এই দুয়া সব সময় করি। আমীন আর আমার জন্যও সব সময় সকল কল্যাণের জন্য দোয়া চাই।
হাফেজা
পিতার নামঃ ডা. মো. আসিফুল ইসলাম
মাতার নামঃ মাহফুজা ইয়াছমিন
ঠিকানাঃ ওহাইও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পাশের সন ২০২৩
পেশাঃ ছাত্রী
হিফজের সময়সীমাঃ ৫ বছর
অনুভূতিঃ Alhamdulillah, hifz kora onek kothin, ami shesh korte perechi, Allahr rohmote. Inshallah ami sara jibon hifz dhore rakhte parbo
হাফেজা
পিতার নামঃ নুর আল-আমিন
মাতার নামঃ আরিফা নুর
ঠিকানাঃ সৌদিআরাব
পাশের সন ২০২৩
পেশাঃ ছাত্রী
হিফজের সময়সীমাঃ ৩ বছর ৫ মাস
হাফেজা
পিতার নামঃ মো: কাওছার আহমদ
মাতার নামঃ খাদিজা আক্তার চৌধুরী
ঠিকানাঃ উত্তর বাগবাড়ি, সিলেট,বাংলাদেশ
পাশের সন ২০২৩
পেশাঃ ছাত্রী
হিফজের সময়সীমাঃ ১ বছর ১০ মাস
অনুভূতিঃ অনুভূতি যখন হাজার পাতার উহ্য থাকুক সবকিছু
হাফেজা
পিতার নামঃ নুর আল-আমিন
মাতার নামঃ আরিফা নুর
ঠিকানাঃ সৌদিআরাব
পাশের সন ২০২৩
পেশাঃ ছাত্রী
হিফজের সময়সীমাঃ ৩ বছর ৫ মাস
Anonymous
Anonymous
Anonymous
Anonymous
-278 days left
-278 days left